১. বাংলা অথবা ইংরেজি ভাষায় রচিত সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, সমাজত্ত্ব, স্থাপত্য, শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, মুদ্রাতত্ত্ব, চিত্রকলা, লিপিকলা, জাদুঘরবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়সহ ইতিহাসের যেকোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে লেখা জমা দেয়া যাবে।
২. জমাদানকৃত প্রবন্ধে Key words বা বিষয়সূচক অনধিক ৫টি মূলশব্দসহ অনধিক ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি ইংরেজি Abstract (সার সংক্ষেপ) অবশ্যই থাকতে হবে।
৩. প্রত্যেক প্রবন্ধের সাথে গবেষণা পত্রটি মৌলিক, ইতিপূর্বে অন্য কোন জার্নালে মুদ্রিত হয়নি, কিংবা প্রকাশের জন্য জমা দেয়া হয়নি – এই মর্মে গবেষককে একটি প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করতে হবে। জমাদানকৃত প্রবন্ধের পৃথম কভার পৃষ্ঠায় প্রবন্ধের শিরোনাম, লেখকের/লেখকদের নাম, পরিচিতি ও যোগাযোগের পুর্ণ ঠিকানা থাকবে। তবে মূল প্রবন্ধের কোথাও লেখকদের নাম বা পরিচিতি ব্যবহার করা যাবে না; প্রবন্ধের প্রথম পৃষ্ঠায় শুধুমাত্র শিরোনাম উল্লেখ করতে হবে।
৪. গবেষণা পত্রে ব্যবহৃত গবেষণা পদ্ধতি তথা Research Methodology-এর উল্লেখ থাকতে হবে।
৫. গবেষণা প্রবন্ধ বাংলা ও ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রেই অনুর্ধ ৫০০০ (পাঁচ হাজার) শব্দের মধ্যে হতে হবে। পত্রিকায় ছাপানোর জন্য রিভিউয়ার কর্তৃক অননুমোদিত প্রবন্ধ ফেরত দেওয়া হবে না। তবে এ বিষয়ে প্রবন্ধকারকে অবহিত করা হবে। মনোনীত প্রবন্ধের সফটকপিসহ দুটি প্রিন্ট কপি অবশ্যই জমা দিতে হবে।
৬. বাংলা প্রবন্ধের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি হতে প্রকাশিত প্রমিত বাংলা বানান রীতি এবং ইংরেজি প্রবন্ধের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ বানান রীতি ব্যবহার করতে হবে। বিদেশি নাম বা শব্দ প্রথম বন্ধনীতে প্রথমবার ইংরেজিতে লিখতে হবে।
৭. প্রবন্ধকার এ-ফোর সাইজের কাগজ প্রিন্টের জন্য ব্যবহার করবেন। পাতার চারদিকে অন্তত এক ইঞ্চি (২.৫৪ সেমি) পরিমাণ মার্জিন থাকবে। প্রতি লাইনের একেবারে শেষ ডানদিকে হাইফেন না থাকা ভালো।
৮. বাংলা প্রবন্ধে উদ্ধৃত ইংরেজি অংশ বাঁকাভাবে (Italic) মূল ইংরেজি রচনা অনুসরণ করে উপস্থাপন করতে হবে। লেখক কর্তৃক ব্যবহৃত নিজস্ব কোন বিশেষ চিহ্ন বা প্রয়োগ থাকলে বাক্যের অব্যবহিত পরে বন্ধনীর মধ্যে তার উল্লেখ থাকবে। হাতে লেখা কোন প্রবন্ধ গ্রহণযোগ্য নয়। মুদ্রিত রচনার ক্ষেত্রে বাংলা ইউনিকোড সমর্থিত সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সুতন্বীওএমজে (SutonnyOMJ) অথবা বৃন্দ (Vrinda) ফন্ট ব্যবহার করতে হবে। ইংরেজির ক্ষেত্রে Times New Roman ফন্ট ব্যবহার করতে হবে।
৯. প্রবন্ধের আগাগোড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্রমিক সংখ্যাসূচকের সাহায্যে অন্ত্যটীকা (End Note) বা তথ্যসূত্র (reference) নির্দেশ করতে হবে। সংখ্যাসূচকগুলিকে পংক্তির শেষ পূর্ণচ্ছেদের পরে ঊর্ধ্বলিপির (superscript) সাহায্যে চিহ্নিত করতে হবে। পাদটীকার (footnote) পরিবর্তে প্রবন্ধের একবারে শেষ অন্ত্যটীকা (End Note) সংযুক্ত হবে।
১০. উদ্ধৃতির অন্তর্গত উদ্ধৃতি ছাড়া আর সর্বত্র উদ্ধৃতিচিহ্ন (“ ”) প্রয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয় উদ্ধৃতিচিহ্নটি অবশ্যই অন্য যতিচিহ্নের আগে বসবে। শুধুমাত্র উদ্ধৃতির অন্তর্গত যতিচিহ্নর জন্য এ শর্ত প্রযোজ্য নয়। দৃষ্টান্তস্বরূপ, শব্দটির অর্থ “ছবি” “চলচ্চিত্র: নয়। কিংবা সে বলেছে, “এ কথা সত্য নয়।”
১১. চল্লিশটির বেশি শব্দের উদ্ধৃতি হলে রচনায় ইনন্ডেন্ট (অর্থাৎ বাঁ দিকে একটু জায়গা ছেড়ে নতুন অনুচ্ছেদে শুরু) প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে উদ্ধৃতিচিহ্নের প্রয়োজন নেই।
১২. উদ্ধৃতির কোনো অংশ উহ্য রাখতে চাইলে আগে ও পরে একটি ফাঁক (Space) রেখে মাঝে ত্রিবিন্দু চিহ্নের (…) ব্যবহার করতে হবে।
১৩. তথ্যসূত্র প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে শিকাগো ম্যানুয়াল ১৭ ব্যবহার করতে হবে। এ সংক্রান্ত নমূনায় নিম্নলিখিত ক্রম প্রযুক্ত হবে :
(১) প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে এরূপ সাজাতে হবে: লেখকের/লেখকদের নাম, গ্রন্থের নাম (প্রকাশনার স্থান: প্রকাশকের নাম, প্রকাশের সন), পৃষ্ঠা সংখ্যা। যেমন: আব্দুল করিম, বাংলার ইতিহাস সুলতানি আমল (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৮৩), ২৩৪। গ্রন্থের একাধিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়ে থাকলে সংস্করণের পরিচিতি গ্রন্থের নামের পর , (কমাচিহ্ন) দ্বারা পৃথক করে দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ: Grace Gato, How to Tie Your Shoes, 3rd ed. (Chicago: Footwear Press, 2005), 70.
(২) পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতি হলে এরূপ সাজাতে হবে: লেখকের/লেখকদের নাম, “প্রবন্ধের নাম,” পত্রিকার নাম পত্রিকার বর্ষ, সংখ্যা (প্রকাশকাল): পৃষ্ঠা সংখ্যা। যেমন : মমতাজুর রহমান তরফদার, “চৈনিক পরিব্রাজকদের দৃষ্টিতে মুসলিম বাংলা,” বাংলা একাডেমী পত্রিকা প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা (ভাদ্র-অগ্রহায়ণ, ১৩৬৪): ২৬। নিবন্ধের ডিজিটাল আইন্ডেন্টিফিকেশন থাকলে পৃষ্ঠা সংখ্যার পর তা লেখা যেতে পারে। উদাহরণস্বরপ: : Shao-Hsun Keng, Chun-Hung Lin, and Peter F. Orazem, “Expanding College Access in Taiwan, 1978–2014: Effects on Graduate Quality and Income Inequality,” Journal of Human Capital 11, no. 1 (Spring 2017): 9–10, https://doi.org/10.1086/690235.
(৩) সম্পাদিত গ্রন্থে প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতি হলে এরূপ সাজাতে হবে: লেখকের/লেখকদের নাম, “প্রবন্ধের নাম” গ্রন্থনাম, সম্পা. সম্পাদকের নাম (প্রকাশের স্থান: প্রকাশনা সংস্থার নাম, প্রকাশকাল), পৃষ্ঠা সংখ্যা। যেমন: Rechard Biernicki and Jordan Jannifar, “The Place of Space in the Study of the Social” in The New Bearings in History and Social Science, ed. Patrick Joyce (London: Routledge, 2002), 142-43
(৪) ওয়েবসাইট থেকে উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে এরূপ সাজাতে হবে: “নিবন্ধের শিরোনাম,” ওয়েবসাইটের নাম, সর্বশেষ পরিবর্তনের তারিখ, ওয়েব ঠিকানা। উদাহরণস্বরূপ:
“Privacy Policy,” Privacy & Terms, Google, last modified April 17, 2017, https://www.google.com/policies/privacy/.
(৫) শিকাগো ম্যানুয়াল স্টাইল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচের ওয়েব ঠিকানা থেকে পাওয়া যাবে: